বাংলাদেশি বিভিন্ন বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে ব্যাক্তিগত আলোচনা
রোট ব্লগ ডেস্ক
বাংলাদেশে বেশকিছু বিচারের ক্ষেত্রে বেশ দীর্ঘসূত্রিতা দেখা যায়। বিশেষ করে জায়গাজমি সংক্রান্ত মামলা গুলোর বিচার বেশ অনেক বছর চলে তারপর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। সেক্ষেত্রে মামলার রায় পেতে পেতে দুইএক বংশধর মারা যাওয়ার ঘটনাও দেখা যাচ্ছে।
আরও এক ধরনের মামলায় দীর্ঘসূত্রিতা লক্ষ্য করা যায়। সেটি হল খুনের মামলা। বিভিন্ন মার্ডার কেচেও একই পরিস্থিতি দেখা যায়। সেক্ষেত্রে, আসামি মামলার রায় পেতে পেতে যুবক থেকে বৃদ্ধে পদার্পণ করছে এমন নজির বাংলাদেশে রয়েছে।
এসবক্ষেত্রে দেখা যায় বিভিন্ন ভুয়া মামলার মাধ্যমে অনেক নির্দোষ মানুষ রায়ের জন্য অপেক্ষা করে জীবনের বেশ কিছু বছর জেলখানাতে কাটিয়ে দেয়। যখন সে নির্দোষ প্রমানিত হয়ে চার, পাঁচ বছর পরে রায় পায় তখন তার জেলে কাটানো সময় গুলো ফিরিয়ে দেয়ার কোন পথ কারোরই থাকেনা।
নিশ্চয়ই এসব সমস্যা কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাকৃত অবহেলার ফল নয়। হয়তো কোন যৌক্তিক কারনেই বিভিন্ন মামলার রায় প্রদান করতে অধিক সময় লেগে যায়।
যেহেতু এটি কারো ব্যাক্তিগত সমসসার ফসল নয় সেহেতু সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এই বিষয়ে চলমানের থেকে কিছুটা বেশি গুরুত্ব প্রদান করলে আশাকরি কম সময়ে বিভিন্ন মামলার রায় প্রদান করা সম্ভব।
বাংলাদেশি সরকার এবং উক্ত প্রসাসনের উপর যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে একজন বাংলাদেশি স্বাধীন নাগরিক হিসেবে আনুরোধ জানাচ্ছি, আপনারা চলমানের থেকে কিছুটা বেশি গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করুন। অবশ্যই আপনাদের হাত ধরে বাংলাদেশি নাগরিকদের একটি খাতে কিছুটা ভোগান্তি নিরশন সম্ভব।
No comments